198 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন (2,616 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (608 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম

যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন যাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আল্লাহর হুকুম এবং নবীজীর সুন্নত মোতাবেক ছিল। তারা সত্যিই আল্লাহর দরবারে নিজেদের অপরাধী, গুনাহগার, জালেম মনে করতেন। গ্রহণ করতেন তারা গুনাহ মাফের কার্যকরী পন্থা। তাই তো হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ প্রতি শুক্রবার এই নামাজ আদায় করতেন। হজরত আবু জাওযা রহঃ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রতিদিন জোহরের আজানের পর জামাত শুরু হওয়ার আগে সালাতুত তাসবিহ পড়তেন।
,
সালাতুত তাছবীহ অত্যম্ত ফযীলতপূর্ণ নামায। এই নামাযে তিনশতবার তাছবীহ পাঠ করা হয় তাই সালাতুত তাছবীহ বলা হয়। হাদীসে আছে এই নামায পড়লে আল্লাহপাক আপনার আগের পাছের, পুরাতন এবং নতুন,ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত, ছোট বড়, গোপনে করা, প্রকাশ্যে করা যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন। এই নামায সম্ভব হলে দৈনিক একবার, তা না হলে সপ্তাহে একবার, তা না হলে মাসে একবার, যদি তাও না হয় বছরে একবার পড়া উচিত।
,
যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাযটা পড়ে নিবেন।বিখ্যাত ওলামায়ে কেরামদের মতে,বিপদ-আপদ এবং চিন্তার অবসানের জন্য সালাতুত তাছবীহের চেয়ে কার্যকরী জিনিস আর নেই।
,
সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়মঃ
,
 সালাতুত তাসবিহ চার রাকায়াত নামাজ। প্রত্যেক রাকায়াতে ৭৫ বার করে মোট চার রাকায়াতে ৩০০ বার নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে হয়। ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ অর্থঃ ‘আমি আল্লাহ তাআ’লার গুণগান কীর্তন করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআ’লার নিমিত্ত, আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোনো মাবুদ নাই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।’ ছালাতুত তাসবিহতে উপরোক্ত দোয়া পাঠ করার ব্যাপারে হাদিস ও ফিকাহের কিতাবগুলোর মধ্যে কিছু নিয়ম আছে।

১। প্রথমে সালাতুত তাছবীহ নামায ৪ রাকআত নফল নামাযের নিয়্যত করতে হবে।
২। তারপর সানা,সূরা ফাতিহা,যে কোন একটা সূরা পড়ার পর উপরোক্ত তাসবীহ ১৫ বার পড়তে হবে।
৩।রূকুতে গিয়ে রূকুর দোআ পড়ার পর একই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে।
৪।রূকুর কাজ শেষ হলে সামিআল্লহু…………হামদ বলার পর দাঁড়িয়েই ওই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে ।
৫।এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর একই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে ।
৬।একটি সিজদা হতে উঠে বসেই ১০ বার পড়তে হবে ।৭।তারপর দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর ১০ বার পড়তে হবে ।
৮।দ্বিতীয় সিজদা হতে উঠে বসে আবারও ১০ বার পড়তে হবে ।এক রাকআত শেষ হল। ঠিক একই নিয়মে আরও ৩ রাকআত নামায পড়তে হবে। সর্বমোট এক রাকআত নামাযে উপরোক্ত তাসবীহ ৭৫ বার পড়তে হবে। ৪ রাকআত নামাযে ৩০০বার হবে।

**মাঝ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার আগেই ১০ বার পড়তে হবে । এবং শেষ বৈঠকে ১০ বার পড়ার পর আত্তাহিয়্যাতু ,দরূদ শরীফ,দোআ মাছুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতে হবে। এই নামায যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়া যায়। মাকরূহ সময় ব্যতীত দিনে-রাতে যে কোন সময় এই নামায পড়া যায়।এই নামায নিজে পড়ুন এবং অন্যদেরও পড়তে বলুন। আল্লাহপাক এই পবিত্র মাসে এই নফল কাজ আদায় তৌফিক দান করুন।আ-মী-ন।
তথ্য সুত্র-ইন্টারনেট

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
03 মে 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ainul VS Rimon (1,808 পয়েন্ট)
2 টি উত্তর
1 উত্তর
03 মে 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ainul VS Rimon (1,808 পয়েন্ট)
1 উত্তর
09 ডিসেম্বর 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ফারহান (5,043 পয়েন্ট)
1 উত্তর
26 অক্টোবর 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ফারহান (5,043 পয়েন্ট)
1 উত্তর
22 অক্টোবর 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat (2,616 পয়েন্ট)
1 উত্তর
19 মে 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন builderbd (1,226 পয়েন্ট)
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...