আসুন শত্রুর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই
.
যদি অস্ট্রেলিয়ান ক্রুসেডাররা কানাডিয়ান ক্রুসেডারদের সাথে মিলে ইসলাম ধ্বংসের মিশনে নামতে পারে, যদি আমেরিকান ক্রুসেডাররা ব্রিটিশ ক্রুসেডারদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইরাক আফগানে মুসলিম নিধন অভিযান চালাতে পারে, যদি ইসরাইলের ইয়াহুদীরা ভারতীয় মুশরিক এবং পশ্চিমা ক্রুসেডারদের সহায়তা নিয়ে সমগ্র আরব অঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারে, তাহলে আমরা এক আল্লাহর বান্দা হয়ে, এক রাসুলের উম্মত হয়ে কেন নিজেদের ভেতরকার পারস্পরিক মতভেদ ভুলে এক কালেমার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনা?
.
মুশরিক এবং কুফফারদের মাঝে শত শত মতপার্থক্য এবং দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক থাকা স্বত্বেও শুধুমাত্র শত্রু এক হওয়ার কারণে সবাই একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। অথচ আমাদের মুসলিমদের মাঝে শত শত মিল থাকা স্বত্বেও শাখাগত কিছু মত পার্থক্যের কারণে শত শত দলে বিভক্ত হয়ে বসে আছি। আমাদের সবার শত্রু তো এক ও অভিন্ন, আমাদের সবার লক্ষ্যও তো এক ও অভিন্ন।
.
আমাদের সবার লক্ষ্য তো একটাই, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েম করা এবং জালেমদের ধ্বংস করে মাজলুমদের ইনসাফ প্রদান করা। আমাদের সবার উদ্দেশ্য তো একটাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা এবং জান্নাতে গিয়ে চূড়ান্ত সুখ এবং সফলতা লাভ করা। তাহলে কেন আমরা নিজ দল এবং মতের বাইরে কাউকে সহ্য করতে পারিনা। কেন আমরা নিজ দল এবং মতের বাইরে অন্য কাউকে হক পথের পথিক ভাবতে পারিনা! কেন আমরা নিজ দল এবং মতের বাইরে ভিন্ন কাউকে দ্বীনের কাজ করছে এই স্বীকৃতি দিতে পারিনা!
.
আমাদের সবার শত্রু এক। বুঝতে হবে ভারত এবং তাদের এদেশীয় দোসররা চায় আমাদের শেষ করে দিতে। কিন্তু একসাথে সবাইকে ধরলে পালটা আঘাত সহ্য করা কঠিন হয়ে যাবে তাই তারা আমাদেরকে বিভিন্ন দল উপদলে বিভিক্ত করে রাখতে চায়। তারা চায় আমরা নিজেদের মধ্যে দলাদলিতে লিপ্ত থাকি তাহলে তাদের জন্য আমাদের শায়েস্তা করতে সহজ হবে। আমাদের বর্তমান অবস্থা হলো। আমার পছন্দের দল এবং মতের বাইরে ভিন্ন কোন মুসলিমের উপর নির্যাতন হলে আমি বিচলিত হইনা, ভাবি তাদেরকে শায়েস্তা করলে ভালোই হবে, তারা শেষ হয়ে গেলে আমার মতবাদ ছড়িয়ে দিতে পারবো খুব সহজেই। কিন্তু একটিবারের জন্যও চিন্তা করিনা এর পরই কিন্তু আমার পালা আসবে। আমাদের পরস্পরের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে মূলত তারা আমাদের সম্মিলিত শক্তিকে বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছে যার ফলে আমরা তাদের সহজ শিকারে পরিণত হয়েছি।
.
বর্তমানে এই অঞ্চলের মুসলিম এবং ইসলামপন্থীদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা। তাদের লক্ষ্য হলো পুরো উপমহাদেশে একজন মুসলিমের নাম নিশানাও বাকি রাখবেনা। সবাইকে শেষ করে হিন্দুরাষ্ট্র কায়েম করবে। যেখানে থাকবেনা কোন মসজিদ, থাকবেনা কোন মাদ্রাসা, থাকবে শুধু মন্দির,মঠ এবং শ্মশান। এই রাষ্ট্রে মুসলিমদের অবস্থা হবে দাস দাসীর চেয়েও করুণ। তাদের কোন অধিকার থাকবেনা। যখন খুশি মারবে যখন খুশি কাটবে। প্রতিউত্তরে কিছুই বলা যাবেনা।
.
এই কথাগুলো তারা এখন প্রকাশ্যেই বলছে, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এসব বিষয়ে সাধারণ হিন্দুদের কাউন্সিলিং করার জন্য বড় বড় সমাবেশ এবং র্যালির আয়োজন হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে উগ্র হিন্দুরা এর পক্ষে জনমত তৈরি করছে এবং মুসলিমদের নিধন করার জন্য আয়োজন করছে সামরিক ট্রেনিংয়ের।
.
আমাদের দেশের অবস্থাও যে ভালো তা কিন্তু নয়। এদেশেও প্রশাসনের সর্বত্র হিন্দুত্ববাদীদের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। সর্বত্রই তাদের সরব উপস্থিতি। উপরস্থ কোন পদে নামধারী কোন মুসলিমের পদায়ন হলেও তাকে আগে দাদা বাবুদের কাছে আনুগত্যের শপথ নিতে হয়। এরপরই মিলে সেই পদ। সেই পদে গিয়ে কেউ যদি কোনভাবে ভারতীয় প্রভুদের অসন্তুষ্টিমূলক কোন কাজ করে ফেলে তাহলে তাকে কৌশলে সরিয়ে দেয়া হয় অথবা গুম করে ফেলা হয়। এটাই স্বাধীন বাংলাদেশের পরাধীনতার আসল চিত্র। এর থেকে যদি আমরা মুক্তি পেতে চাই তাহলে নিজেদের দলাদলি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
.
সামনে আলেম ওলামা এবং ইসলামপন্থীদের জন্য খুবই কঠিন দিন আসছে। গুজরাট, মুজাফফরনগর নেলি মুরাদাবাদের মত গণহত্যার প্রস্তুতি চলছে ভারত বাংলাদেশ জুড়ে। এর সামান্য কিছু নমুনা আমরা গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পেয়েছি। ভোলায় হিন্দু কতৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবমাননার প্রতিবাদে মিছিল করায় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে নবীপ্রেমিকদের হত্যা করা। কুমিল্লায় হিন্দু কতৃক কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে মিছিল বের করায় চাদপুরের হাজীগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় বহু মুসলিমের বুকে গুলি চালানো এবং ব্যাপক ধর পাকড় চালানো। ভারতের কসাই মোদির আগমনের বিরোধিতা করায় চট্টগ্রাম বাহ্মণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় অনেক মুসলিমকে হত্যা করা।
.
নাস্তিক এবং ইসলাম অবমাননাকারীদের বিচার দাবি করায় ৬ই মে রাতে শাপলা চত্বরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অগণিত তৌহিদী জনতাকে হত্যা করা। একজন আলিমের মৃত্যুদন্ডের প্রতিবাদ করায় দুই শতাধিক মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা। এমন আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে গত অল্প কয়েক বছরে। এগুলো তো সব বড় বড় ঘটনা এর বাইরেও অসংখ্য গুম খুন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে শুধুমাত্র ভারতীয় আধিপত্যবাদকে মেনে না নেয়ার কারণে.
.
মোটকথা যে বা যারাই হিন্দু বা হিন্দুত্ববাদীদের ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরোধিতা করবে তাকেই হয়তো গুম করে ফেলা হবে অথবা মিথ্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হবে কিংবা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হবে। এই পর্যন্ত বহু আলেম ওলামা এবং সাধারণ মানুষ এই ধরণের গুম খুনের শিকার হয়েছেন। অসংখ্য আলেম ওলামা তাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ নির্যাতনের কারণে কারাগার কিংবা বন্দী অবস্থায়ই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।
.
এখনো যদি আমরা আমাদের আসল শত্রুকে না চিনি, তাদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে প্রতিরোধ গড়ে না তুলি তাহলে আরো অনেক আলেম উলামাকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন করা হবে। গুম খুনের শিকার হতে হবে আরো অনেক দায়ী বক্তাকে। তাই আসুন আমরা সকলে নিজেদের মধ্যকার ভেদাভেদ ভুলে একতাবদ্ধ হই এবং শত্রুর বিরুদ্ধে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাওফিক দান করুন। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।
4 দিন পূর্বে
করেছেন
তামিম আল আদনানী
সিলেবাসে ট্রান্স মতবাদ: বৈশ্বিক কুফরের এক নিকৃষ্ট এজেন্ডা, সমাধান কোন পথে?
.
অভিশপ্ত শয়তান ইবলিস আল্লাহ তায়ালার সাথে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার যে প্রতিজ্ঞা করেছিল, তা সে তার অনুসারীদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
শয়তান প্রতিজ্ঞা করেছিল এভাবে,
وَلَأُضِلَّنَّهُمْ وَلَأُمَنِّيَنَّهُمْ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ آذَانَ الْأَنْعَامِ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ وَمَن يَتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّن دُونِ اللَّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِينًا
আমি অবশ্যই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে (মিথ্যা) আশ্বাস দেব; তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্টির আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্ট ক্ষতিতে নিপতিত হয়।
(সুরাহ নিসা-১১৯)
.
ট্রা*ন্স মতবাদ ছড়ানোর মূল এজেন্ডা হচ্ছে, এর আড়ালে কাফির ও তাদের সহযোগীরা ঘৃণ্যতম অপকর্ম সমকামিতার প্রসার ঘটাতে চায়।
এ ছাড়াও একজন নারী পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণ করা কিংবা একজন পুরুষ নারীর সাদৃশ্য গ্রহণ করা হাদীসের ভাষ্যমতে সম্পূর্ণ ঘৃণ্য, হারাম ও অভিশপ্ত কাজ।
.
বৈশ্বিক কুফরি শক্তি এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে যাদেরকে সর্বাত্মকভাবে কাজে লাগায়, তারা হচ্ছে, বিভিন্ন এনজিও, ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়া, কথিত মানবাধিকার সংগঠন এবং সেক্যুলার-লিবারেল সরকার।
.
এনজিওর মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কাজ করে, মিডিয়া এটিকে স্বাভাবিকীকরণ করে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর পক্ষে জনমত তৈরি করে। অতঃপর চূড়ান্তভাবে অনৈসলামিক সরকারগুলো তা বাস্তবায়ন করে।
.
মুসলিম দেশগুলোতে বৈশ্বিক কুফরি শক্তি ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের পাশাপাশি আরো নতুন নতুন ফ্রন্ট খুলছে। ট্রা*ন্স মতবাদ হচ্ছে তাদের তেমনই একটি ফ্রন্ট। এসব হাতিয়ারের মাধ্যমে তারা ইসলাম নির্মূলের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই ঘৃণ্য ট্রা*ন্স মতবাদের মাধ্যমে শুধু ইসলামের মূল্যবোধ বিনষ্ট হবে তা নয় বরং মানব জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
.
৯২% মুসলিম জনগোষ্ঠী একটি দেশের সিলেবাসে ট্রা*ন্স মতবাদের সপক্ষে গল্প সন্নিবেশিত করা কোনো সাধারণ ব্যাপার নয়। আমাদের অসচেতনতার গভীর নিদ্রা আমাদেরকে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
.।
সমাধান কোন পথে ?
.
বৈশ্বিক কুফরি শক্তি ও স্থানীয় তা/গু/তী রাষ্ট্রব্যবস্থাই হচ্ছে সকল কুফর ও অনাচারের হোতা। তারা একটার পর একটা কুফরি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই থাকবে।
.
এসব সমস্যা সমাধানের দুটো স্তর আছে।
১. যে সমস্যাটা তৈরী হলো সেটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যেন জনগণের নীরবতার সুযোগে সরকার সেটাকে সমাজে স্বাভাবিক করে ফেলতে না পারে, আইনগত বৈধতা দিয়ে ফেলতে না পারে। এটা খুবই জরুরী৷ সময়ে সময়ে মুসলিম জনগণ আন্দোলন করে বিভিন্ন জঘণ্য এজেন্ডার বাস্তবায়ন কিছুটা হলেও পিছিয়ে দিতে পেরেছেন, বাস্তবায়ন ঠেকানো না গেলে কমপক্ষে সামাজিকভাবে সেটাকে ঘৃণ্য করে তুলতে পেরেছেন, স্বাভাবিক হতে দেন নি। তাই এ ধরনের আন্দোলনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।
.
২. টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের জন্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক কুফরী ব্যবস্থার অধীনতা থেকে মুক্তি অর্জন করা। এটা ছাড়া স্থায়ী, টপকসই ও শতভাগ সমাধান সম্ভব না।
আমরা যদি শুধু উক্ত এজেন্ডার পিছনেই আন্দোলন করি, কিন্তু আসল শত্রুকে চিনতে ও পরাজিত করতে চেষ্টা না করি, তাহলে আমাদেরকে এক এজেন্ডার পর আরেক এজেন্ডার পিছনে আন্দোলন করতে হবে। তারা আবার নতুন কোনো ঘৃণ্য মতবাদের প্রসার ঘটাবে। এ ধারাবাহিকতা শেষ হবেনা।
.
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّىٰ يَرُدُّوكُمْ عَن دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا.........
অর্থ: তারা (কাফিররা) সর্বদাই তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে, যে পর্যন্ত না তারা তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে সরিয়ে (মুরতাদ বানিয়ে) দিতে পারে, যদি তারা সক্ষম হয়।...... (সুরাহ বাকারা-২১৭)
.
ট্রা*ন্সসহ সকল কুফরি ও অপবিত্র এজেন্ডার বিরুদ্ধে সচেতনতা ও আন্দোলনের পাশাপাশি বৈশ্বিক কুফরি শক্তি এবং স্থানীয় তা/গু/তী রাষ্ট্রব্যবস্থার ব্যাপারে সচেতনতা অতীব জরুরী। নতুবা আল্লাহদ্রোহী তা/গু/তী ব্যবস্থা ধারাবাহিক কাফিরায়ন প্রক্রিয়ার নতুন নতুন আয়োজন সংযোজন করতেই থাকবে।
.
কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণার আন্দোলন, হেফাযতের ১৩ দফার আন্দোলন সহ আরো অসংখ্য ইসলামবিরোধী আন্দোলন একদিকে হয়েছে, এসব আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফলাফলও আছে, কিন্তু কোনো আন্দোলনের দাবী-দাওয়াগুলোই এই জাহেলী ব্যবস্থা মেনে নেয়নি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তা/গু/তী শক্তি এখন নতুন এবং ভাষায় প্রকাশ করার অযোগ্য এমন ঘৃণ্য অপবিত্রতা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।
.
তাই মনে রাখা জরুরী, এসবের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান তখনই হবে, যখন আমরা মূল কুফরি শক্তিকে চিনে তার বিরুদ্ধে শরিয়সম্মত পন্থায় আন্দোলন করে তাকে উৎখাত করতে পারবো।
.
কুফরি,শিরক ও সকল ফিতনা নির্মূলে আল্লাহর ইরশাদ হচ্ছে,
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ
অর্থ: আর তাদের বিরুদ্ধে কি*তা*ল করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা (কুফরি,শিরক ও অন্যান্য) নির্মূল হয়ে যায় এবং দ্বীন পরিপুর্ণভাবে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। (সুরাহ আনফাল-৩৯)
ই*মা*র*তে ইসলামি আ*ফ*গা*নি*স্তান যদি মূল শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই না করে শুধু ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে নিজেদের সমস্ত কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতো, তাহলে তার ফলাফলও হয়তো কুফরী ব্যবস্থার অধীনে এখনও বন্দী হয়ে থাকা আরো দশটা মুসলিম অধ্যুষিত ভূমির মতোই হতো। কিন্তু তাঁরা যে কোনো সমস্যার প্রাথমিক সমাধানের পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কুফরি শক্তিকে চিনেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন। এজন্য আল্লাহ তাআলা তাদেরকে উপযুক্ত ফলাফল দান করেছেন।
.
সুতরাং ট্রা*ন্স ইস্যুর মাধ্যমে আমরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কুফরি শক্তির চেহারা উন্মোচন করি এবং মুসলিম উম্মাহকে এই শত্রুর সকল ঘৃণ্য ও অপবিত্র পরিকল্পনার ব্যাপারে সচেতন করি। কারণ, যেকোনো লড়াইয়ের পূর্বশর্ত হচ্ছে- শত্রুকে চেনা।
17 অগাস্ট
করেছেন
তামিম আল আদনানী
আল্লাহু আকবারের মর্ম অনুধাবন
দুই রাকাত নামাজে একজন মুসলিম অন্তত এগারোবার আল্লাহু আকবার বলে। পাঁচওয়াক্ত ফরজ নামাজ এবং সুন্নাত ও ওয়াজিব মিলিয়ে একদিনে এই সংখ্যাটা একশো পঞ্চাশের অধিক হয়। এর মানে হল একজন মুসলিম দিনে দেড়শো বারের অধিক তার রবকে সবচেয়ে বড় বলে ঘোষনা দিচ্ছে। সে যেমনি তার রবকে সবচেয়ে বড় বলে ঘোষনা দিচ্ছে তেমনি তার দেয়া শরীয়ত এবং বিধি বিধানকেও সকল ধর্ম ও মতবাদের উপর স্থান দেবে এটাই ছিল স্বাভাবিক।
কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন কিছু পরিলক্ষিত হয়, কিছুক্ষণ পুর্বে আল্লাহু আকবার বলে আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষনা দিয়ে আসা ব্যাক্তিটাও মসজিদ থেকে বের হয়েই আল্লাহ প্রদত্ত শাসননীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ দ্রোহীদের বানানো শাসননীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতিকে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করার এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র, সমাজ পরিচালনা করার শপথ নিচ্ছে।
সমাজ, রাষ্ট্র ও আইন আদালতে ইসলামকে অচল মনে করছে। ইসলামের বিধানকে উন্নতি ও অগ্রগতির অন্তরায় মনে করছে। ইসলাম ধর্ম ও অন্যন্য বাতিল ধর্মকে সমমর্যাদার মনে করছে। ইসলামের অনেক বিধানকে সেকেলে, অচল, পশ্চাতপদ ও বর্বর মনে করছে। ইসলামী বিধানের পরিবর্তে পশ্চিমাদের নোংরামীকে যুগোপযোগী, আধুনিক ও কল্যাণকর মনে করছে।
এর কারণ হল আমরা মুখে আল্লাহ সবচেয়ে বড় বললেও মনেপ্রাণে এই কথা মেনে নিতে পারিনি। যদি মনেপ্রাণে এই কথা মেনে নিতে পারতাম তাহলে কখনো আমাদের পক্ষে আল্লাহর দেয়া সমাজনীতি অর্থনীতি রাষ্ট্রনীতি তথা ইসলামী শরীয়াহর বদলে জমিনে ভিন্ন কোন মতবাদকে মেনে নেয়া সম্ভব হতোনা। এর অধীনে শান্তভাবে জীবন-যাপন করা এবং একে বিনাশ করার পরিবর্তে এর প্রতিরক্ষা করার কথা তো কল্পনাও করতাম না।
সত্যিকার্থেই যে ব্যাক্তি আল্লাহকে সবচেয়ে বড় বলে বিশ্বাস করে সে তার জীবন ব্যয় করে হলেও বাকি সব বাতিল মতবাদকে ধ্বংস করে আল্লাহর দেয়া শরীয়াহকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। এমন কিছু তাওহীদবাদী নির্ভীক যুবক উঠে দাঁড়াবে এই আশায়…
15 অগাস্ট
করেছেন
তামিম আল আদনানী