উন্নত দেশসমূহের মধ্যে জাপান বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতের জন্যই বিশেষভাবে পরিচিত। তাদের কর্মস্পৃহা নিয়েও কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। তাদের অসামান্য গুণাবলীর কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ধ্বংসের মুখে পতিত হওয়া জাপান এখন বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র।
জাপানের শিক্ষার মানও অত্যন্ত উন্নত এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। পড়ালেখা চলাকালীন সপ্তহে ২৮ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজ করার সুযোগ রয়েছে জাপানে। ছুটির সময় বেশি কাজ করতেও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কাজের সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি আয়ের পরিমাণও আকর্ষণীয়।
জাপানী ভাষা কোর্সে এক থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত পড়া যায়। এর পরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা পেশাদারী/কারিগরি কোর্সে জাপানী ভাষায় বিনামূল্যে বা কম খরচে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায়। জাপানী ভাষা জানা এবং জাপানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট থাকলে বৈধভাবে চাকরি করা যায় এবং পরে নিয়মিতও হওয়া যায়।
যারা পড়ালেখা করতে দেশের বাইরে যেতে চান, তাদের জন্য Japanese Language Course নিয়ে জাপান যাওয়া খুবই ভালো ও নিশ্চিত একটি সুযোগ হতে পারে। জাপানী ভিসা পাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। যুক্তরাজ্য বা অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া খুব একটা সহজ নয়। সেক্ষেত্রে প্রথমে জাপানে গিয়ে পড়ে এসব দেশে যাওয়াটা সহজ হয়ে যায়।
জাপানে পড়ার সুবিধাসমূহ :জাপান অত্যন্ত সুন্দর একটি দেশ। পড়ালেখার পাশাপাশি বৈধভাবে কাজ করার সুবিধা জাপানকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। পাশাপাশি রয়েছে ল্যাংগুয়েজ কোর্স করে একাডেমিক বা ভোকেশনাল কোর্সে স্কলারশিপ বা ফি-ওয়েভার পাওয়ার সুবিধা। পড়ালেখা শেষে বৈধভাবে কাজ করার ও থাকার সুযোগও মিলবে। বৈধভাবে ১০ বছর থাকলে রয়েছে জাপানে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ।
ভর্তি যোগ্যতা :জাপানে পড়ালেখা করতে যেতে চাইলে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। পিএইচডি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অবশ্য বয়স শিথিলযোগ্য। কমপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে। আর এগুলোর সাথে লাগবে শিক্ষাব্যয় বহনের সক্ষম ঘনিষ্ট অভিভাবক এবং আয়ের স্বপক্ষে ব্যাংক ও পোশা সম্পর্কিত কাগজপত্র।
ভিসার জন্য জাপান দূতাবাসে যাওয়ার আগে ঢাকায় যা পড়ানো হবে :অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা ১৬০ ঘণ্টা জাপানী ভাষা শিক্ষা (কাতাকানা ও হিরাগানা); জাপানীদের শিষ্টাচার; জাপানে প্রথম প্রবেশের সময় একান্ত প্রয়োজনীয় কথাবার্তা; জাপান দূতাবাসে ভিসা সাক্ষাত্কারের জন্য প্রস্তুতি।
অন্যান্য তথ্য :জাপানে জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই এবং অক্টোবরে ভর্তি হতে হয়। শুরতে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এগ্রিমেন্ট করে প্যাকেজ কস্ট বাবদ ১০ (দশ) লক্ষ টাকার একটি চেক জমা রাখতে হবে। ভিসা না হলে টাইম অ্যান্ড ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কাছে জমা চেকটি ফেরত দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব করা হয় না। ভিসা হওয়ার পরে প্যাকেজ কস্ট পরিশোধ না করা পর্যন্ত পাসপোর্ট টাইম অ্যান্ড ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কাছে রাখতে হবে। শিক্ষার্থী বা অভিভাবক কোনোভাবেই পাসপোর্ট নিজের কাছে রাখতে পারবে না। ভিসা হলে টাইম অ্যান্ড ট্রেডই শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ বছরের টিউশন ফি এবং ১ বছরের ডরমিটারি চার্জ জাপানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরাবর পাঠাবে। কোনো কোনো কলেজে ছয় মাসের ফি পাঠলেও চলবে।