108 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন Level 1

গণতন্ত্রের সমালোচনার মোকাবেলার জন্য আমাদের গণতন্ত্রমুগ্ধ ইসলামিস্ট ভাইদের কিছু ডিফল্ট জবাব আছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ব্যাপারে কেউ কোন কথা বললেই এ মুখস্থ কথাগুলো নিয়ে তারা হাজির হন। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রচলিত জবাব হল – গণতন্ত্রের বিকল্প কী? এতো যখন সমালোচনা করছেন তখন বিকল্প একটি পথ দেখিয়ে দেন না! ইসলাম কায়েমের সঠিক পথ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে দেখান তো! – ইত্যাদি।

এধরণের প্রশ্ন যারা করেন তাদের অধিকাংশ উত্তর জানার জন্য প্রশ্ন করেন না। কারণ এমন প্রশ্ন করা অনেককেই আপনি দেখবেন অন্যান্য আলোচনায় প্রস্তাবিত বিভিন্ন বিকল্প পদ্ধতির ব্যাপারে ‘জ্ঞানগর্ভ’ সমালোচনা (সেটাও মুখস্থ) পেশ করছে। বিসাইডস, যে বিষয়টা নিয়ে এতো আলোচনা হয়েছে, যে আলোচনার কথা কাফিররাও জানে, মুরতাদরাও জানে, সেটা তারা কোনভাবেই খুঁজে পাচ্ছেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য না।

আসলে এ এধরণের প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হল যে গণতন্ত্রের সমালোচনা করছে তাঁকে হয় চুপ করানো, বা বেকায়দায় ফেলা। আমরা সবাই জানি, ‘ইসলাম কায়েমের পদ্ধতি কী হবে?’ - এ প্রশ্নের এমন কিছু উত্তর আছে যেগুলো অ্যামেরিকা-অনুমোদিত (যেমন গণতন্ত্র মুগ্ধ ভাইদের পছন্দের উত্তর)। আবার এমন কিছু উত্তর আছে যেগুলো চিন্তাপরাধ। এসব উত্তরকে সঠিক মনে করলেই মুসলিমদের বন্দী, গুম, হত্যা ইত্যাদি করা জায়েজ হয়ে যায়। একারণে অনেকেই অনেক পরিস্থিতিতে বিপজ্জনক উত্তরগুলোর সরাসরি আলোচনা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। মুখস্থ প্রশ্ন নিয়ে গণতন্ত্রমুগ্ধ ভাইরা তাঁদের বেকায়দায় ফেলে নিজেদের মনে মনে আদর্শিক বিজয়ের আনন্দ খোঁজেন।

তো এই কূটতর্কের দিকটা একটু ঘুরিয়ে দেয়া যাক। যারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের পদ্ধতিতে বিশ্বাস করেন, তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা যাক – কিভাবে এই পদ্ধতিতে আপনারা ইসলাম কায়েম করবেন? মেহেরবানি করে বিস্তারিত এবং স্পষ্ট আলোচনা করুন।

একটি ইসলামী দল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসলো।
ধরে নিলাম, নির্বাচনে জেতার আগেই আলজেরিয়ার মতো সেনাবাহিনী নামিয়ে দেয়া হলো না।
আরো ধরে নিলাম যে তাদের অবস্থা বাংলাদেশ, পাকিস্তানের জামায়াত ইসলামীর মতো না। কোন জোট না করে তারা নিজে নিজে ক্ষমতায় আসতে পারে (বা জোট হলেও তারা জোটের প্রধান দল, পার্শ্বচরিত্র না)।
আরো ধরে নিলাম যে, মিশরের মতো সামরিক অভ্যুত্থান করে গণহত্যা চালানো হল না। ক্ষমতায় আসার পর তারা টিকেও গেলেন।
আরো ধরে নিলাম যে, তারা গণতন্ত্রের পাইপ ড্রিমের হাল আমলের জনপ্রিয়তম ফেরিওয়ালা এরদোগানের মতো বারো-পনেরো বছর ক্ষমতায় টিকেও থাকলেন, এক ইঞ্চি মাটিতেও ইসলাম কায়েম না করে।
প্রশ্নের ফ্রেইমওয়ার্ক বোঝা গেল?
আচ্ছা, তারপর কী?
পরের স্টেপগুলো কী?
এ পদ্ধতির এন্ডগেইমটা কী?
কিভাবে এ অবস্থা থেকে এখন ইসলাম কায়েম করা হবে? কিভাবে এখন ধাপে ধাপে আল্লাহর আইন দিয়ে শাসন করা হবে? শরীয়াহ বাস্তবায়ন করা হবে? শরীয়াহ অনুযায়ী পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারন ও বাস্তবায়ন করা হবে? মযলুম মুসলিমদের সাহায্য করা হবে?

প্রশ্নগুলোর স্পষ্ট ও বিস্তারিত উত্তর পেলে উপকৃত হই।

‘আমরা না আমাদের সন্তানেরা ইসলাম কায়েম করবে’, ‘আমরা চারা লাগাবো আমাদের নাতিরা ফল খাবে’ – এ জাতীয় কর্মী ভুলানো কথা না। বিভিন্ন বিদেশী পত্রিকার আন্তর্জাতিক সেকশানের খবর মিলিয়ে ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ জাতীয় কিছুও চাচ্ছি না।

স্পষ্ট, আবেগহীন, রেটোরিকমুক্ত, নিরস, প্র্যাগম্যাটিক এবং কম্প্রিহেনসিভ উত্তর চাচ্ছি। এবং সাথে এটাও জানতে চাচ্ছি কোন ধরণের আক্রমনের স্বীকার না হয়ে সে উত্তর নিয়ে নির্মোহ বিশ্লেষনের অধিকার অন্যদের আছে কি না।

যেহেতু এ প্রশ্ন তাদের মুখের ডগায় থাকে, তাই আশা করা যায় উত্তরও কাছাকাছি কোথাও থাকার কথা।

এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে দয়া করে প্রবেশ কিংবা নিবন্ধন করুন ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
20 জুন 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique Level 7
1 উত্তর
26 মে 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন sakhawat062 Level 7
1 উত্তর
29 ডিসেম্বর 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md.noyon Level 5
1 উত্তর
1 উত্তর
01 অগাস্ট 2019 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন DH Rana Level 5
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...