228 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন Level 3
এবং সৌদি আরবে যদি ঘরে নামাজ আদায় করি তাহলে ৬ ত্বকবির দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে কি? প্লীজ কেউ জানান?

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন Level 6
এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় আলেম মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টায় মালয়েশিয়া থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষয়টি নিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি আলোচনা করেন।

বক্তব্যে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, বিগত যেকোনো বছরের ঈদের তুলনায় এই বছরের ঈদটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। কেননা এই মহামারীকালীন ঈদের সালাত জামায়াতে আদায় করা সম্ভব নাও হতে পারে।

ভিডিওতে করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে ও সুস্থতা বজায় রাখতে তিনি ঈদের সালাত একা বা ঘরে আদায় কিংবা সর্বোচ্চ কয়েকজন মিলে ঈদের জামায়াত পড়ার পরামর্শ দেন তিনি।

মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ঈদের নামাজে আজান ও ইকামাত দেয়ার প্রয়োজন নেই। ঈদের নামাজে অতিরিক্ত কিছু তাকবির দিতে হয়। অতিরিক্ত তাকবিরের বর্ণনা দিয়ে আজহারী বলেন, মাজহাব ভেদে তাকবিরের সংখ্যার পার্থক্য রয়েছে। হানাফি মাজহাবে ছয়টি অতিরিক্ত তাকবির দেয়া হয়ে থাকে। প্রথম রাকআতে তিনটি দ্বিতীয় রাকাআতে তিনটি।

শাফিঈ মাজহাবে ১২টি অতিরিক্ত তাকবির দিতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রথম রাকআতে সাতটি ও দ্বিতীয় রাকআতে পাঁচটি। হাম্বলি আর মালিকি মাজহাবে ১১টি অতিরিক্ত তাকবির দেয়া হয়ে থাকে। প্রথম রাকাআতে ছয়টি আর দ্বিতীয় রাকাআতে পাঁচটি।

তবে বাংলা ভাষাভাষীরা মূলত হানাফি মাজহাবের অনুসারী হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তিনি ছয় তাকবিরই পড়ার পরামর্শ দেন।

ঈদের নামাজ ঘরে পড়ার নিয়ম

মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, নামাজে দাঁড়িয়ে তাকবিরে তাহরীমা অর্থাৎ 'আল্লাহু আকবার' বলে সানা পড়তে হবে। তারপর কেরাত পড়ার আগে অতিরিক্ত তিনটি তাকবির দিতে হবে অর্থাৎ 'আল্লাহু আকবর' তিনবার বলতে হবে। এরপর সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা এবং অন্য সকল নামাজের ন্যায় রুকু ও সিজদাহ করতে হবে।

এবার দ্বিতীয় রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়ে প্রথমে কেরআন পড়তে হবে অর্থাৎ সূরা ফাতিহা ও সঙ্গে অন্য একটা সূরা পড়তে হবে। এরপর রুকুতে যাওয়ার আগে তিনটি তাকবির অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ তিনবার বলতে হবে এবং চতুর্থ তাকবির দিয়ে তারপর রুকুতে যেতে হবে। এখানে তিনটি অতিরিক্ত তাকবির ও চতুর্থটি নামাজের স্বাভাবিক তাকবির। এভাবে ছয়টি অতিরিক্ত তাকবির দেয়ার মধ্য দিয়ে খুব সহজেই ঈদের নামাজ আদায় করা যেতে পারে।তবে ঈদের সালাত ঘরে আদায়ের ক্ষেত্রে খুতবার প্রসঙ্গটি বাদ যাবে। কেননা খুতবা সবার উদ্দেশে ইমাম সাহেব দিয়ে থাকেন, যা কিনা সুন্নত।
করেছেন Level 7
ইফতি ভাই তবে যেহেতু আমাদের এলাকা সমপূর্ন করোনা মুক্ত এবং এ নিয়ে কোন অতঙ্কিত ভাব নেই তাই লকডাউনের তো প্রশ্নই উঠে না ।সুতরাং আল্লাহর অসীম রহমত যে আমরা ঈদের নামাজটা আমদের এলাকার ঈদগাহের মাঠেই পড়তে পাড়ব তবে তা অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে।আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুক্রিয়া যে আল্লাহ আমাদেরকে এখনো এই গজবের সম্মুখিন করেন নি।আরেকটা শুক্রিয়া যে আমাদের মসজিদে আগের মতো এবারও কতমে তারাবিহ এর নামাজ আদায় করতে পেরেছি।যা রমজানের আগে ভাবতেই অভাক লাগত।
করেছেন Level 7
ভাই আপনার এলাকার পরিস্তিতি কি ?
করেছেন Level 6
আলহামদুলিল্লাহ! সব প্রশংসাই আল্লাহর। আমার এলাকায় (ঈশ্বরদ্বী তে) ২ জন সনাক্ত হয়েছে। জেলা পাবনায় তো ১৫+। মৃতও ১ জন। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।      
করেছেন Level 7
অবশ্যই আল্লাহর কাছে দোয়া করি ।তিনি যেন আমাদের উপর থেকে গজব উঠিয়ে নেন। তো ঈদের নামাজ বরাবরের মতো পড়তে পাড়ছেন না ।
করেছেন Level 3
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে কষ্ট করে বোঝানোর জন্য।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
19 মে 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন builderbd Level 6
1 উত্তর
18 মে 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
1 উত্তর
24 এপ্রিল 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md tushar Level 6
2 টি উত্তর
24 মার্চ 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
1 উত্তর
1 উত্তর
06 মে 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন builderbd Level 6
1 উত্তর
18 মে 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...