87 বার প্রদর্শিত
"সাধারণ" বিভাগে করেছেন Level 7

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 7
মাশরুমের ব্যবহার: মাশরুম দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি হয়। যেমন_ফ্রাই, চপ, চিংড়ি মাশরুম, মাশরুম চিকেন স্যুপ, নুডলস, কারি, আচার, রোল, সালাদ, মাশরুম চিকেন বিরিয়ানি ইত্যাদি। এ ছাড়া মাশরুম মাংস রান্নায় এবং রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়। যেভাবে শুরু করবেন: মাশরুম চাষের জন্য সবার আগে প্রয়োজন কোন খামারে বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জানতে পারবেন মাশরুমের চাষাবাদ, সংগ্রহ, সংরক্ষণ প্রণালি, বাজারজাতকরণসহ অন্যান্য বিষয়। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর প্রয়োজন পুঁজি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক করতে হবে কী পরিমাণ ও কতটুকু জায়গায় চাষ করবেন। এরপর চাষের খরচ, স্থান নির্বাচন, প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ, বীজ সংগ্রহ করতে হবে ইত্যাদি। পুঁজি যখন এক লাখ: সাধারণত ১৬ ফুট বাই ৩২ ফুট এবং ১০ ফুট উচ্চতার ঘরে সমতলে ছয়টি মাচা বা তাক (১ ফুট অন্তর অন্তর) তৈরি করত হবে। ৪ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩ ফুট প্রস্থের একটি তাকে ৮০০-১০০০ বীজ চাষ করা যায়। চাষের জন্য বীজ পাওয়া যাবে পুরনো চাষিদের কাছে এবং সাভারে সোবহানবাগের মাশরুম উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পে। বিভিন্ন জাতের মাশরুমের জন্য বিভিন্ন ধরনের তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার প্রয়োজন। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় 'স্ট্র মাশরুম' এবং শীতকালে 'ওয়েস্টার' জাতের মাশরুম চাষ উপযোগী। তা ছাড়া মিল্কী মাশরুমও চাষ করা যায়। মাশরুম চাষের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ২০-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ছনের চালা বা টিনের ঘরে সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ঘরটি গাছের নিচে হলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব। আর তাক তৈরির সময় যাতায়াত, পরিচর্যা ও সংরক্ষণের জন্য নূ্যনতম জায়গা রাখতে হবে। বীজের পরিচর্যা, ফলন তোলা ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রকারের উপকরণের প্রয়োজন হবে। কম সময়ে দ্রুত ফলন: প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সব ঠিক করে বীজ আনার পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে প্রথম ফলন পাওয়া যাবে। একটি বীজ থেকে তিন-চার দিন অন্তর অন্তর ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি বীজ থেকে দু-তিন মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এভাবে প্রাথমিক অবস্থায় আট থেকে দশ হাজার বীজ থেকে দৈনিক ১৫-১৮ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। তবে বীজ পুরনো হলে আস্তে আস্তে ফলন কমতে থাকে। তখন নতুন বীজ সংযোজন করলে আবার ফলন বেড়ে যায়। যেখানে বিক্রি করবেন: বিভিন্ন চেইন শপে (যেমন আগোরা, নন্দন, স্বপ্ন, মিনাবাজার) মাশরুম সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। উৎপাদনকারীরা প্যাকেটজাত করে সরাসরি চেইন শপগুলোতে পাইকারি দরে সরবরাহ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন চায়নিজ রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড খাবারের দোকান এবং রাস্তার ধারে মুখরোচক বিভিন্ন খাবারের দোকানে মাশরুম বিক্রি করা যায়। অনেক ক্রেতা সরাসরি খামারে এসেও মাশরুম কেনেন। তিনভাবে মাশরুম বিক্রি হয়_ফ্রেশ বা কাঁচা মাশরুম, শুকনা মাশরুম এবং পাউডার মাশরুম। ফ্রেশ বা কাঁচা মাশরুম ১০০ গ্রাম প্যাকেট হিসেবে ২০-২৬ টাকা, শুকনা ১০০ গ্রাম ১৭০-১৮৫ টাকা এবং পাউডার ১০০ গ্রাম হিসেবে ১৭০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়। ঝুঁকি নিতে হবে: যেকোনো ব্যবসার মতো মাশরুম চাষেও ঝুঁকি আছে। সঠিক পদ্ধতিতে উৎপাদন করতে না পারলে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যায়। সঠিক তাপমাত্রার অভাব ছাড়াও বিভিন্ন পোকামাকড় যেমন_তেলাপোকা, মাছি, ইঁদুর, মাকড়সা ইত্যাদি আক্রমণের শঙ্কা আছে। এসব ক্ষতিকর পোকামাকড়কে সঠিক পদ্ধতিতে প্রতিকার করতে হবে। প্রশিক্ষণ: সরকারিভাবে জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র বিনা খরচে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাশরুম চাষের জন্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা করে থাকে। আর প্রশিক্ষণের জন্য বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং খামার তো রয়েছেই। উৎস: উদ্যোক্তা।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
29 ফেব্রুয়ারি 2020 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nazmul hasan Level 7
0 টি উত্তর
20 জুন 2023 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 উত্তর
16 ফেব্রুয়ারি 2020 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nazmul hasan Level 7
1 উত্তর
26 জানুয়ারি 2020 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nazmul hasan Level 7
0 টি উত্তর
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...