447 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন (608 পয়েন্ট)
মানুষ কেন নাস্তিক হয়?
একটু বিস্তারিত জানালে ভালো হয়

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (48 পয়েন্ট)
মানুষ কিশোর বয়স থেকেই স্বাধীন হতে চায়।আর তখনই শয়তান তাদের ধোঁকা দেয় । এর কারনেই তার স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছা আরও বেড়ে যাই। তখন তার হাতে দুটি পথ খোলা থাকে—

১) তাকে এই নিয়মগুলো মেনে নিয়ে জীবন পার করতে হবে।
২) সে এই নিয়মকানুনগুলো অস্বীকার করে নিজের খেয়াল খুশি মত জীবন যাপন করবে।

কিন্তু নিজের মত করে জীবন যাপন করতে গেলে প্রথমে তাকে ধর্মকে অস্বীকার করতে হবে। তখন সে বলা শুরু করবে: “সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু নেই। আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি না।” এটা বলে সে নিজের ভেতর এক ধরনের মানসিক স্বাধীনতা অনুভব করে, কারণ তখন তার মধ্যে কোনো ধর্মীয় দায়বদ্ধতা থাকে না, যা তাকে এক ধরনের আনন্দ দেয়। আর এভাবেই জন্ম হয় বেশিরভাগ নাস্তিকদের।

আজকাল যে সকল নাস্তিকদের আমরা দেখে থাকি, তাদের বেশিরভাগই হুজুগে নাস্তিক। তারা কেন নাস্তিক, সেটা তারা নিজেরাও জানে না। তাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়: আপনি কেন নাস্তিক? —তারা কোনো যুক্তিসংগত উত্তর দিতে পারে না। তারা নাস্তিক হয় সবার চেয়ে আলাদা হওয়ার জন্য। অন্যদের বলার জন্য যে, “দেখ, আমি তোমাদের চেয়ে আলাদা। তোমরা সব মান্ধাত্তা আমলের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ, তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করো। আমি একজন আধুনিক শিক্ষিত মানুষ। আমি ঈশ্বর মানি না।”

আবার অনেকে হতাশা থেকে নাস্তিক হয়। যেমন- সে আল্লাহ্র কাছে কোন কিছুর জন্য অনেক চাইল, কিন্তু তারপরেও তার সেটা না পাওয়ার থেকে হতাশা তৈরি হয়। এরপর তার মাথায় চিন্তা ঘুরে, “আমি এত করে চাওয়ার পরেও আল্লাহ্ আমাকে দিলো না। আল্লাহ্ যদি সত্যিই থাকতো তাহলে দুনিয়ার এত মানুষ কেন এত কষ্ট সহ্য করে, এত অবিচারের স্বীকার হয়? খারাপ লোকদের কেন কিছু হয় না? তিনি থাকতে এত দুঃখকষ্ট হয় কিভাবে?... ইত্যাদি আরও নানা ধরনের প্রশ্ন!

সবশেষে আমাদের জন্য আল্লাহর ﷻ কিছু আমন্ত্রণ দিয়ে শেষ করি—

"আমি মানুষ এবং জীনকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদতের জন্য।"  [জারিয়াত ৫৬]

“মানুষকে বলো, ‘আকাশ এবং পৃথিবীতে যা আছে, তা ভালো করে দেখো।’”  [সূরা ইউনুস ১০:১০১]

"রহমানের সৃষ্টিতে কোথাও কোন অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। তোমার সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিকে প্রসারিত করে দেখো, তেমন কিছু দেখতে পেলে কি? তোমার সেই দৃষ্টি আবার বুলিয়ে নাও। এবং আবারও। তোমার দৃষ্টি তোমার কাছে ফিরে আসবে আহত, ব্যথিত, লাঞ্চিত ও লজ্জিত হয়ে।" [সূরা মূলক্ ৬৭:৩-৪]

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

4 টি উত্তর
09 ডিসেম্বর 2017 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat (2,606 পয়েন্ট)
0 টি উত্তর
24 সেপ্টেম্বর 2019 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Younus Matubber (5,096 পয়েন্ট)
2 টি উত্তর
04 ডিসেম্বর 2018 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat (2,606 পয়েন্ট)
2 টি উত্তর
14 ফেব্রুয়ারি 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat (2,606 পয়েন্ট)
1 উত্তর
04 সেপ্টেম্বর 2019 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন তুহিন (4,292 পয়েন্ট)
3 টি উত্তর
30 এপ্রিল 2019 "নিত্যনতুন সমস্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat (2,606 পয়েন্ট)
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...