162 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন (2,599 পয়েন্ট)

1 উত্তর

–1 টি ভোট
করেছেন (2,599 পয়েন্ট)
পঞ্চম হিজরীর শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর কারণ হল, ইহুদীরা যখন দেখল যে, উহুদ যুদ্ধে মুশরিকরা জয়লাভ করেছে ও মুসলিমগণ পরাজিত হয়েছে এবং তারা শুনতে পেল যে, আগামী বছর আবু সুফিয়ান বদর প্রান্তরে মুসলিমদের সাথে পুনরায় যুদ্ধ করবে, তখন তাদের সাহস বেড়ে গেল। সুতরাং ইহুদী নেতারা মক্কার কুরাইশদের কাছে গমণ করল। তারা মক্কায় গিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুরাইশদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলতে লাগল এবং রসূল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে তারা কুরাইশদেরকে সাহায্য করার পূর্ণ আশ্বাস প্রদান করল। ইহুদীদের আগ্রহ দেখে কুরাইশদের হিম্মত ও সাহস বেড়ে গেল। ইহুদীদের পরামর্শ মুতাবেক তারা রণপ্রস্ত্ততি নিতে শুরু করল। এ লক্ষ্যে তারা গাতফান এবং অন্যান্য আরব গোত্রের নিকট গমণ করল। তারা তাদেরকে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহবান  জানাল। তারা সেই ডাকে সাড়া প্রদান করল।

অল্প সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন আরব গোত্রের ১০ হাজার স্বশস্ত্র যোদ্ধা প্রস্ত্তত হয়ে গেল। এদের মধ্যে কিছু ইহুদীও ছিল। আবু সুফিয়ান সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল। পূর্ণ প্রস্ত্ততি সহ তারা মদ্বীনার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়ল।
সংবাদ পেয়ে নাবী (সাঃ) সালমান ফারসীর পরামর্শে মদ্বীনার চার পার্শে খন্দক তথা পরীখা খননের পর তিন হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী নিয়ে মদ্বীনার মূল শহরের বাইরে বেরিয়ে পড়লেন। এ সময় ইহুদী গোত্রগুলোও চুক্তি ভঙ্গ করে কুরাইশদের সাথে মিলিত হল এবং মুনাফেকদের নিফাকীও প্রকাশিত হয়ে গেল। এতে মুসলিমদের উপর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়ল এবং অনেক লোকই ভীত হয়ে পড়ল।

ইতিমধ্যেই কুরাইশ বাহিনী মদ্বীনার নিকটবর্তী হয়ে গেল এবং চতুর্দিক থেকে মদ্বীনাকে ঘেরাও করে ফেলল। পূর্ণ একমাস তারা কঠোরভাবে মদ্বীনাকে অবরোধ করে রাখল। মুশরিক ও মুসলিম শিবিরের মাঝখানে খন্দক প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ানোর কারণে কোন প্রকার যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। পরিশেষে আল্লাহ্ তা‘আলা কাফেরদের উপর বিরাট এক বাতাস প্রেরণ করলেন। প্রচন্ড বাতাসে তাদের তাবুগুলো উল্টে গেল। এতে করে তাদের অন্তরে ভয়-ভীতি প্রবেশ করল। তারা আল্লাহর ক্রোধ ও অসন্তুষ্টি নিয়ে ফেরত গেল। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর সৈনিকদেরকে বিজয় দান করলেন এবং দুশমনদেরকে একাই পরাজিত করলেন।

মুশরিকরা চলে যাওয়ার পর রসূল (সাঃ) ও মদ্বীনায় প্রবেশ করে যুদ্ধের হাতিয়ার খোলা শুরু করলেন। তখন জিরীল ফিরিস্তা এসে বললেন- আপনারা অস্ত্র ছেড়ে দিচ্ছেন? অথচ আল্লাহর ফিরিস্তাগণ এখনও যুদ্ধের পোশাক খুলেন নি। মোটকথা তিনি জানতে পারলেন যে, বনী কুরায়যার ইহুদীরা চুক্তি ভঙ্গ করেছে। তিনি সাথে সাথে ঘোষণা করে দিলেন যে, বনী কুরায়যার যমীনে পৌঁছার আগে কেউ যেন আসরের সলাত না পড়ে। এই ঘোষণা শুনে মুসলিমগণ দ্রুত বের হয়ে পড়লেন। নাবী (সাঃ) ও বের হয়ে পড়লেন। মুসলিম বাহিনী সেখানে পৌঁছার পর ইহুদীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা পরাজিত হল। যার ভাগ্যে হত্যা নির্ধারিত ছিল সে নিহত হল। বাকীরা অপমানিত হয়ে মুসলিমদের হাতে বন্ধী হল। খন্দক ও বনী কুরায়যার যুদ্ধে মুসলিমদের মোট দশজন লোক শহীদ হল।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
20 মে 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ফারহান (5,025 পয়েন্ট)
1 উত্তর
19 মে 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ফারহান (5,025 পয়েন্ট)
1 উত্তর
31 অক্টোবর 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ran Ran Ran (2,450 পয়েন্ট)
1 উত্তর
31 অক্টোবর 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ran Ran Ran (2,450 পয়েন্ট)
1 উত্তর
27 সেপ্টেম্বর 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ebrahim (3,067 পয়েন্ট)
0 টি উত্তর
12 জানুয়ারি 2019 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat (2,599 পয়েন্ট)
1 উত্তর
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...