240 বার প্রদর্শিত
"ব্যাবসা ও চাকুরী" বিভাগে করেছেন Level 5

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 5
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ধনী চট্টগ্রামের ডিসকো শওকত
তিনি কখনো আলোচনাতেই থাকেন না। অর্থ বা ব্যাংক ঋন নিয়ে কোন কেলেঙ্কারির কথাও কখনো শোনা যায়নি। তার ব্যবসা বাণিজ্য নিয়েও কোন নেতিবাচক কথা কেউ কখনো শোনেনি। তিনি চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে তিনি ‘ডিসকো শওকত’ হিসেবে খ্যাত এবং পরিচিত।

বাংলাদেশ আয়কর বিভাগ থেকে সদ্য ঘোষিত দেশের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যাক্তির তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন এই ডিসকো শওকত। তিনি ফিনলে প্রপার্টিজ-এর পরিচালক ও অংশীদার। এ ছাড়া তিনি ইস্টার্ণ ব্যাংক-এরও পরিচালক।

২০১৩-১৪ করবর্ষের সম্পদ বিবরণীর ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১০০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদের মালিক রয়েছেন ২৫ জন। আর ৫০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি টাকার নিট সম্পদের মালিকের সংখ্যা ৪৭। অর্থসম্পদের মালিকানা হিসাবে দেশের এক নম্বর শীর্ষ ধনী হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন চট্টগ্রামের ডিসকো শওকত। দায় দেনা বাদ দিয়ে তার মোট নীট সম্পদের পরিমাণ টাকার অংকে ২৭৫ কোটি টাকা।

ডিসকো শওকত চট্টগ্রামে তিনি নগদ টাকার কুমির হিসেবে খ্যাত। তার টাকা খরচ করার মানসিকতা আকাশের মতই বিশাল। প্রচার-প্রচারণা থেকে দূরে থাকতেই ভালোবাসেন তিনি। ঘনিষ্ঠজনদের কারণে-অকারণে অথবা কথায় কথায় তিনি আদর করে গালি দিতে পছন্দ করেন, সবাই সেটি উপভোগও করে।

তিনি থাকেন চট্টগ্রাম মহানগরীর সার্সন রোডের পাহাড়ের চূড়ায় সুবিশাল বাংলো বাড়িতে। মানুষকে সহজে আকৃষ্ট করার এক অসাধারণ মোহনীয় ক্ষমতা শওকত আলীর। তার প্রথম সন্তান মেয়ে জারা লন্ডনে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছেন। গত বছর মেয়ের বিয়েতে যেসব আয়োজন ছিল তাতে বিয়েটি স্থান করে নিয়েছে চট্টগ্রামের এ যাবৎকালের সবচেয়ে আলোচিত বিয়ে আয়োজন হিসাবে। কলকাতা থেকে আসা বাবুর্চিরা গায়ে হলুদের খাবার রান্না করে ফিরে গেছেন সেদেশে।

কলকাতার বাবুর্চিদের রান্না করা খাবারে পানি আর তেল ছাড়া চট্টগ্রামের কোন উপাদানই ব্যবহার করা হয়নি। সবই এসেছে ব্যাংকক ও কলকাতা থেকে। বিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের আরেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন আলমের বড় ছেলে সাজ্জাদ আরেফিন আলম মুনের সঙ্গে।

দেশের শীর্ষ ১০ সম্পদশালী ব্যক্তির তালিকায় ২য় অবস্থানে রয়েছেন নাভানা গ্রুপের সাইফুল ইসলাম, যার নিট সম্পদের পরিমাণ ২৭০ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সাদাত সোবহান। তার নিট সম্পদের পরিমাণ ২০৫ কোটি টাকা। ২০০ কোটি টাকা নিট সম্পদ নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন হোসাফ গ্রুপের মোয়াজ্জেম হোসেন। তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, যার নিট সম্পদের পরিমাণ ১৬৫ কোটি টাকা। শীর্ষ সম্পদশালীর তালিকায় এর পরের স্থানে রয়েছেন আফরোজা বেগম। তার নিট সম্পদের পরিমাণ ১৫৮ কোটি টাকা।

১৫৫ কোটি টাকা নিট সম্পদ নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছেন বসুন্ধরা পরিবারের আরেক সদস্য সাফওয়ান সোবহান। সম্পদশালীদের তালিকায় সবচেয়ে বেশি সদস্য রয়েছেন আকিজ পরিবারের। এ পরিবারের পাঁচ সদস্য এস কে বশিরউদ্দিন, এস কে জামিল উদ্দিন, এস কে জসিম উদ্দিন, শেখ শামীম উদ্দিন ও শেখ নাসির উদ্দিন প্রত্যেকেই ১৪০ কোটি টাকার নিট সম্পদের মালিক। ১৪০ কোটি টাকার নিট সম্পদের মালিক প্রাইম ব্যাংকের পরিচালক এম এ খালেকও। যৌথভাবে তারা রয়েছেন তালিকার অষ্টম স্থানে।

১৩৭ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তালিকার নবম স্থানে রয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান। ১৩৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম রয়েছেন দশম স্থানে। তালিকার ১১তম স্থানে আছেন আনোয়ার হোসেন। তার নিট সম্পদ রয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।

এর পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছেন ক্রমানুসারে নাসা গ্রুপের মালিক নজরুল ইসলাম, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের আহসান খান চৌধুরী, চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম, মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, এনটিভির কর্ণধার মো. মোসাদ্দেক আলী, হাজি ইউনুস আহমেদ, গাজী গ্রুপের কর্ণধার গোলাম দস্তগীর গাজী এবং নিটল-নিলয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল মাতলুব আহমাদ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
1 উত্তর
30 এপ্রিল 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...