232 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন Level 4
করেছেন
সালাম ,
আপনার "মুমীন" লেখাটি ঠিক হয়নি !
সঠিক হবে "মুমিন্ " ।
সবাইকে ধন্যবাদ

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 6
যেদিন থেকে মুহাম্মদ (সাঃ) বিশ্বমানবকে এক আল্লাহকে নিজদের প্রভু এবং অন্যান্য প্রচলিত মানুষ আবিষ্কৃত সব প্রভুত্বকে বাতিল বলে মেনে নেবার আহ্বান জানিয়েছিলেন, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বের মুসলিমরা নিজদের যেমন একজাতি,  বিশ্বাসী জাতি বলে মনে করে যাচ্ছেন তেমনি  অমুসলিমরাও  মুসলিমদেরকে একজাতি বলে জ্ঞান করে আসছে, যেমন, যেখানেই আরব, তুর্কি তাতার, মোগল,আফগান জাতীর কেউ ইসলাম প্রচার করতে এসেছেন বা রাজ্য জয় করতে এসেছিল বা ব্যবসা বাণিজ্য করতে এসেছিল সেখানেই তাদেরকে স্থানীয়রা তাদের আঞ্চলিক পরিচয়ে কেউ পরিচিত করে নাই  বা সেই ইসলাম প্রচারকারী, রাজ্য জয়কারী বা ব্যবসায়ীকে তাঁর মাতৃ ভাষা দিয়ে পরিচয় করে নাই ভাষা এবং অঞ্চল যা হোকনা  কেন থাকে শুধুমাত্র মুসলিম পরিচয়ে পরিচিত করা হয়েছে। তাঁর প্রমাণ নিতে অন্যান্য জাতী কর্তৃক রচিত ইতিহাস পাঠ করে দেখুন।  

বিষয়টা এভাবে ইসলামের সূচনা থেকে চলে আসলেও এবং ইতিহাসবিদরা মুসলিম জাতিকে এভাবে চিহ্নিত করে আসলেও হাল-আমলের কিছু লোক মুসলিম এবং অমুসলিম এই মুসলিম জাতির জন্য অন্য এক নতুন তত্ত্ব নিয়ে আসছেন। দাবী করছেন সারা বিশ্বের মুসলিমরা কখনও এক জাতি হতে পারেনা! তারা কখনও এক জাতি ছিলনা, এমনকি তাদের অনেক মুসলিমরা যে এক জাতি নয় তাঁর প্রমাণ স্বরূপ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিভাজনকে প্রমাণ হিসাবে হাজির করছেন। ৭১এর পর থেকে ভারতের হিন্দু রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই তত্ত্ব তোলে ধরলেও সেই প্রচারণার ভাইরাস এখন আমাদের খোদ বাঙ্গালী মুসলিমদের মধ্যে আছর করে বসেছে! (তবে তারা যদি এই কথা বলার সময় ইতিহাসকে বিচার বিবেচনায় রাখতেন তাহলে এই যুক্তি তোলে ধরতে পারতেন না। কারণ ইতিহাসের চাঞ্চল্যকর উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে কখনো বঙ্গদেশ, বঙ্গীয় এলাকা, বঙ্গ প্রদেশ, বাঙ্গাল সরকার, বাঙ্গাল মুলুক, বাঙ্গালা প্রেসিডেন্সী, পূর্ব বাংলা, পূর্ব পাকিস্তান, আর এখন বাংলাদেশে এসে পৌঁছে আমাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয় আর অনাগত ভবিষ্যতে কোথায় কোন মহাসাগরের মোহনায় আমরা গিয়ে পৌঁছুবো তা শুধু আল্লাহ জানেন। এখানে লক্ষ্য করা দরকার যে যুগে যুগে আমাদের রাষ্ট্রীয় জাতিয়তা বা পরিচয় বদল হলেও আমরা আমাদের মুসলিমত্বে কোন পরিবর্তন আসে নাই )।  শুধু তাই নয় এও বলছেন যে মুসলিমদেরকে জাতি হিসাবে পরিচিত করে বিশ্বজনীন ইসলামকে নাকি ‘সংকীর্ণ গণ্ডির’ ভিতরে নিয়ে যাওয়ার অপরাধ করে ফেলা হচ্ছে!  এবং এই ভাবে বিভাজিত (!) হয়ে ইসলামের ক্ষতি করা হচ্ছে।  এবং কোন কোন সেকুলার মুসলিম তাদের এই নীতিকে কোরআন সিদ্ধ বলে প্রমাণ করতে তারা নিম্নের কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতিও দিচ্ছেন!

“হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।” (৪৯:১৩)

তাদের দৃষ্টিতে যদিও ‘মুসলিম জাতি নাই’ তবুও এই আয়াতটি নাকি মুসলিম জাতির সংজ্ঞা! আসলে আমরা এখন ডাক্তারি পড়তে, ব্যারিস্টারি পড়তে, ইঞ্জিনিয়ারী পড়তে হলে সেই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ স্কুলে গিয়ে পড়া শুনা করেই ঐ বিষয়ে বিজ্ঞ হই। কিন্তু হালে কোরআনের অনুবাদ পড়ে পড়ে আমরা আর কোন আলেম উলেমাদের কাছে শিক্ষা না নিয়ে নিজেরা ‘মুজতাহিদ’ হয় বসি। আর এই নব্য মুজতাহিদের প্রমাণ উপরোক্ত আয়াতের  ব্যবহার । জাতি নাই, কিন্তু জাতির মাপকাঠি হচ্ছে ঐ আয়াত! তাদের আলোচনার কেন্দ্র ঐ আয়াত। আসলে এই আয়াত মোটেই জাতীয়তা মাপার মাপকাঠি নয়। কারণ এই আয়াত নাজিলের কারণ এবং পটভূমিকা আমাদের হাদিস শাস্ত্রে পরিষ্কার ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই আয়াত বর্ণ বৈষম্য তথা সব মানুষ যে সমান আশরাফ আর আতরাফের অবস্থান যে ইসলামে নাই সেটি বলা হয়েছে এবং আল্লাহর নিকট সেই প্রিয় যিনি আল্লাহর প্রতি অধিক নির্ভরশীল থাকেন। কাজেই ইসলামে কাউকে নিজদের মনগড়া মত যুক্তি উপস্থাপনের অধিকার দেয়নি। যারা নিজের ইচ্ছামত কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করবেন তারা সম্পূর্ণ অবৈধ চর্চা করবেন।

আল্লাহ পাক আল কোরআনে এই “উম্মাহ” শব্দটি অনেক ভাবে ব্যবহার করে থাকলেও এই “উম্মাহ” শব্দ দ্বারা মূলতঃ অতীত এবং ভবিষ্যতের জনমন্ডলী বা জাতী বুঝাতেই বর্ণনা করেছেন।  

এবার আমার দাবীর সত্যতা যাচাই করতে দেখব আল কোরআনে উম্মাহ বলে আল্লাহ কি বোঝাচ্ছেন-

২-১৪৩। এভাবেই  আমি তোমাদের এক মধ্যপন্থী ও ভারসাম্যপূর্ণ উম্মাহ/জাতি রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি; যেনও তোমরা মানব জাতির উপর সাক্ষী স্বরূপ  এবং রাসূল তোমাদের উপর সাক্ষী স্বরূপ হবে। তুমি এতদিন যে কিবলাতে অভ্যস্ত ছিলে আমি তা মনোনীত করেছিলাম, পরীক্ষা করার জন্য কে রাসূলকে অনুসরণ করে আর কে [বিশ্বাস থেকে] ফিরে যায় । আল্লাহ্‌ যাদের পরিচালিত করেন তারা ব্যতীত [অন্যদের জন্য] এটা অবশ্যই কঠিন [কাজ]। আল্লাহ্‌ এরূপ নন যে তোমাদের ঈমানকে ব্যর্থ করবেন । অবশ্যই আল্লাহ্‌ সকল মানুষের জন্য দয়ায় পরিপূর্ণ এবং অতীব অনুগ্রহশীল।
 
২-২১৩। মনুষ্য সম্প্রদায় ছিলও একই উম্মাহ/জাতি  অতঃপর আল্লাহ্‌ নবীদের সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেন। মানুষেরা যে বিষয়ে মতভেদ করতো তাদের মধ্যে সে বিষয়ে মীমাংসার জন্য তিনি তাদের সাথে সত্যসহ কিতাব প্রেরণ করেন। কিন্তু কিতাব প্রাপ্তদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শন আসার পরেও, স্বার্থপরতা ও অবাধ্যতার দরুন সে বিষয়ে মতভেদ করতো। তারা [অবিশ্বাসীরা] যে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতো আল্লাহ্‌ তাঁর নিজ অনুগ্রহে সে বিষয়ে বিশ্বাসীদের সত্য পথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন।
 
১০-১৯। মনুষ্য সম্প্রদায় ছিলও একই উম্মাহ /জাতি । কিন্তু (পরবর্তীতে) মতভেদের সৃষ্টি হয়। তোমরা প্রভুর পূর্ব ঘোষণা না থাকলে, তাদের মত পার্থক্যের মীমাংসা হয় যেতো ।
 
১০-৪৭। প্রত্যেক উম্মাহর/জাতির জন্য একজন রাসুল [প্রেরণ করা হয়েছে]। যখন তাদের রাসুল আসে, তখন বিষয়টি ন্যায়ের সাথে তাদের মাঝে মীমাংসা হবে এবং তাদের প্রতি কোন অন্যায় করা হবে না।

১৬-৯৩। যদি আল্লাহ্‌ ইচ্ছে করতেন, তবে তিনি তোমাদের এক উম্মাহ /জাতি পরিণত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা করেন বিভ্রান্তিতে ছেড়ে দেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎ পথে পরিচালিত করেন। তোমাদের সকল কাজের অবশ্যই হিসাব গ্রহণ করা হবে।

২৩-৫২। এবং নিশ্চয়ই তোমাদের এই উম্মাহ/জাতি একই উম্মাহ/জাতি , এবং আমি তোমাদের প্রভু ও প্রতিপালক। সুতরাং আমাকে ভয় কর [ অন্য কাউকে নয়]।

৩-১১০। তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত/জাতি, মানবজাতির [কল্যাণের] জন্য তোমাদের আবির্ভাব। তোমরা ন্যায়ের নির্দেশ দান কর, পাপ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহতে বিশ্বাস কর । কিতাবিরা যদি শুধুমাত্র ঈমান আনতো,তবে তা তাদের জন্য ভাল হতো। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক আছে যারা ঈমান এনেছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশ বিকৃত [মানসিকতা সম্পন্ন] সীমা লঙ্ঘনকারী।

উপরের বিভিন্ন আয়াত পড়লেই উম্মাহ শব্দটি দ্বারা যে  আল্লাহ পাক জাতি বোঝাচ্ছেন তা পরিষ্কার হয়ে যায়।

এবার দেখব অভিধানগত ভাবে উম্মাহ শব্দটি দ্বারা কি বুঝায়। উম্মাহ শব্দটির মূল বলে প্রাচীন আরবি একাধিক শব্দের কথা জানা যায়, যেমন- আম্মা, ইমামা, উমুমা এবং উম্ম।

আম্মা শব্দ দ্বারা- যাওয়া, গ্রহণকরা, অবলম্বন করা, সংশোধন করা, দেখতে যাওয়া ইত্যাদি বুঝায়।

ইমামা শব্দটি দ্বারা- পথ দেখিয়ে দেওয়া, নেতৃত্ব করা,

উমুমা শব্দটি দ্বারা- মা হওয়া, রাষ্ট্র,

উম্ম শব্দটি দ্বারা – মা, উৎস, মূল, ভিত্তি সারকথা ইত্যাদি বুঝায়।

সেই সব শব্দ থেকে উম্মাহ আর উম্মাহ যে জাতি হিসাবে বুঝায় তাঁর প্রমাণ আজকের পৃথিবীর জাতিসংঘ তথা ইউনাইটেড নেশনকে আরবিতে “আল উমাম আল মুত্তাহিদাহ”   বা সংযুক্তজাতি বলা হয়ে থাকে। আর এই শব্দটিকে বিশ্বের সকল আরবি ভাষীরা এই ভাবেই ব্যবহার করে আসছেন এই শব্দ দ্বারা জাতী বুঝাতে কেউ না করেন নাই। কাজেই প্রচলিত আরবি বলেন আর কুরআনিক আরবি বলেন উভয় স্থানে উম্মাহ মানে জাতী বুঝানো হয়েছে তাই এই কথার কোন দ্বিমত থাকতে পারেনা।

গত দুশো বছর যাবত যে ভাবে ভৌগলিক বা ভাষা বা রাষ্ট্র ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ চালু হয়েছে ইসলামী জাতীয়তাবাদ তত সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ নয়।  সাধারণভাবে একই  ভাষাভাষী, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বর্ণ, জীবনাচরণ বিশিষ্ট লোক সমষ্টিকে জাতি হিসেবে অভিহিত করা হয়।

কিন্তু ইসলাম যে উম্মাহ বা জাতির কথা উল্লেখ করেছে, তা নির্দিষ্ট কোন ভাষা, বর্ণ, গোত্র, এমনকি কোন সীমানার বন্ধনে আবদ্ধ নয়। বরং সমগ্র পৃথিবীর যে কোন স্থানে বসবাসকারী তাওহীদে বিশ্বাসী পবিত্র কুরআনের অনুসারী, ইসলামের পতাকা তলে সমবেত জাতিই – মুসলিম জাতি বা মুসলিম উম্মাহ। পবিত্র কুরআনে উম্মাহ ওয়াহিদা বলতে আল্লাহ পাক এই মুসলিম উম্মাহকেই বুঝিয়েছেন।  পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন,  إِنَّ هَٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ
২১– ৯২। তোমাদের এ উম্মত আসলে একই উম্মত৷ আর আমি তোমাদের রব ৷ কাজেই তোমরা আমার ইবাদত করো।

 
কুরআনে মুসলিম উম্মাহর পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ পাক আরও বলেন, –
وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا ۗ
২– ১৪৩। আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে একটি ‘মধ্যপন্থী’ উম্মাতে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা দুনিয়াবাসীদের ওপর সাক্ষী হতে পারো এবং রসূল হতে পারেন তোমাদের ওপর সাক্ষী ৷ ——

পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৭০০ কোটি মানুষের মাঝে ২০০ কোটি মুসলমান । বর্তমানে তারা বিভিন্ন দেশ-জাতি-গোষ্ঠীতে বিভক্ত ।তাদের জীবনাচরণও ভিন্ন ভিন্ন। অথচ আমরা জানি ইসলামের বিধান অনুযায়ী দুনিয়ার সব মুসলিম এক জাতি বা উম্মাতুন ওয়াহিদা । বিশ্বব্যাপী আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মানবতার বৃহত্তর কল্যাণের জন্যেই মুসলিম উম্মাহর উদ্ভব। এই মুসলিম উম্মাহ বিশ্বের যে অঞ্চলে বাস করেন না কেন, তাদের জন্ম থেকে মৃত্যুর পরবর্তী সব কার্যক্রম আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুসারে প্রতিপালন করা হয়। এবং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যে কোন শ্রেণী অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বিয়ে সাদির বন্ধনে আবদ্ধ হতেও কোন মানা নেই। অথচ এক ভাষা ভাষী এক রাষ্ট্রে বসবাস করলেও মুসলিম উম্মাহ অন্য ধর্মীদেরকে বিয়ে করতে পারেনা। এই উম্মাহর লক্ষ্য যেমন বড়, তেমনি এর আদর্শ, অবস্থান ও কর্মনীতিও সকল দূর্বলতা, নেতিবাচকতা, সঙ্কীর্ণতা ও ক্ষুদ্রতার ঊর্ধ্বে। ভাষার পার্থক্য তাদেরকে বিভক্ত করে না। অবস্থানের দূরত্ব তাদের ভালোবাসার কাছে পরাস্ত হয়। বর্ণের বৈচিত্র্য বা গঠনের তারতম্য তাদের ঘনিষ্ঠ ভ্রাতৃত্বে কোনও খাদ তৈরি করতে পারে না। আমরা হাদিস থেকে আরও জানতে পারি যে-

 “এক মুসলমান অন্য মুসলমানের জন্য এক শরীর সদৃশ। যদি এর একটি অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয় তবে এর প্রভাবে সারা শরীর ব্যথিত ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।”

অবশ্য যারা সেকুলার স্কুলে লেখাপড়া করে জ্ঞানার্জন করেছেন তাদের পক্ষে এই সত্য উপলব্ধি  করা হয়তো বেশ কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

এমনিতে গত ১৪শত বছরে ইসলামের শরীরে অনেক বিজাতীয় শেওলা এসে লেগেছে, এখন অনেকেই মূল ইসলামকে বাদ দিয়ে বিজাতীয় শেওলাকেই ইসলাম বলে চালিয়ে নিচ্ছেন। তবে আমার অনুরোধ  তাদের প্রতি -ইসলামকে তাঁর ইসলামী ব্যাখ্যায় রেখে দিন, ইসলামকে অন্যান্য মানব আবিষ্কৃত তত্ত্ব দিয়ে খতনা করিয়ে ভিন্ন এক মুসলিম ফেরকা গঠন করতে প্রচেষ্টা নিবেন না।

যে ইসলামে কোন ভাল পদ্ধতি প্রচলন করল সে উহার সওয়াব পাবে এবং সেই পদ্ধতি অনুযায়ী যারা কাজ করবে তাদের সওয়াবও সে পাবে, তাতে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন খারাপ পদ্ধতি প্রবর্তন করবে সে উহার পাপ বহন করবে, এবং যারা সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবে তাদের পাপও সে বহন করবে, তাতে তাদের পাপের কোন কমতি হবে না।

Source-সদালাপ

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
0 টি উত্তর
04 সেপ্টেম্বর 2022 "আইকিউ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Farhad_prodhan Level 2
1 উত্তর
05 নভেম্বর 2019 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anamul Level 1
1 উত্তর
08 অগাস্ট 2019 "রূপচর্চা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ripon ali Level 1
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...