870 বার প্রদর্শিত
"যৌন" বিভাগে করেছেন Level 5

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন Level 5
অযু ও অপবিত্রতার গোসল অন্যতম একটি এবাদত। সকল প্রকার এবাদতের ক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে তা আল্লাহর আদেশ অনুযায়ীই করতে হবে। মানুষ তার কারণ ও হিকমত সম্পর্কে জানুক আর নাই জানুক। আল্লাহ্ যা ইচ্ছা আদেশ করবেন। বান্দা সেই আদেশ তামিল করবে। যা ইচ্ছা তা থেকে নিষেধ করবেন। বান্দা তা থেকে দূরে থাকবে। কোন কোন আদেশ-নিষেধের কারণ ও হিকমত যদি বান্দা জানতে পারে তাহলে খুবই ভাল। আর যদি তা জানা না যায়, তাহলে এগুলোর হিকমত জানার পিছনে ছুটে আমাদের কোন লাভ নেই। অযথা সময় নষ্ট হবে। ইসলামের কোন আদেশ-নিষেধ যদি কেউ যুক্তি ও বিবেকের মোতাবেক হওয়ার কারণে মেনে চলে আর বিবেকের বিরোধী হওয়ার কারণে না মানে, তাহলে সে তার রবের আনুগত্য করেছে, এটা বলা যাবে না; বরং বলতে হবে সে তার বিবেকের আনুগত্য করেছে। সুতরাং মুমিন ব্যক্তি চিন্তা করুক। সে কি তার দয়াময় আল্লাহর আনুগত্য করবে? না তার ত্র“টিপূর্ণ জ্ঞান ও বিবেকের পূজা করবে।

বিষয়টি ভাল করে বুঝার জন্য একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। মনে করুন একজন রোগী ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার রোগীর কাছে রোগের বিবরণ শুনে কিছু ঔষধ লিখে দিল। তারপর ডাক্তার বললঃ এই ঔষধগুলো খাবার পর খেতে হবে। আর এগুলো খেতে হবে খাবার গ্রহণের আধা ঘন্টা পূর্বে। এখন রোগীর জন্য কি ডাক্তারের কাছে এ কথা জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে, এই ঔষধ খাবার আগে কেন? আর এটি খাবার পর কেন? এটি দিনে তিনবার আর ঐটি দিনে দুইবার কেন? ডাক্তর কি এ ক্ষেত্রে এর কারণ ও হিকমত বলতে বাধ্য? রোগীর কি উচিৎ নয় যে, সে ডাক্তারের কথা মত ঔষধগুলো সেবন করবে? কারণ কোন্ ঔষধ কিভাবে খেলে রোগী ভাল হবে, তা ডাক্তার ভাল করেই জানে। রোগীর জন্য এটি জানা জরুরী নয়, জানার চেষ্টা করা। ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করাও ঠিক নয়। এ ধরণের প্রশ্নে কোন ডাক্তার খুশী হবে বলে মনে হয় না। রোগীর এ জাতিয় প্রশ্ন তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় নয়।

আল্লাহ্ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমাদের ভাল-মন্দ সম্পর্কে তিনি আমাদের নিজের চেয়েও অধিক অবগত আছেন। সুতরাং তিনি ভাল করেই জানেন যে, কি আমল করলে আমাদের কল্যাণ হবে। তিনি আমাদেরকে সেই আদেশ দিয়েছেন। আর কি কাজ করলে আমাদের ক্ষতি হবে। তিনি আমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করেছেন। আমাদের উচিৎ হবে, বিনা প্রশ্নে সেগুলো মেনে নেওয়া। সুতরাং এ ধরণের কোন প্রশ্ন করা ঠিক হবে না, যোহর-আসরের নামায চার রাকআত কেন? মাগরিব কেন তিন? ফজর কেন দুই। যোহর-আসরে কিরআত নিঃরবে কেন? বাকী গুলোতে প্রকাশ্যে কেন? পশ্চাৎ পথে বায়ু বের হলে অযুতে হাত-মুখ ও পা ধৌত করতে হয় কেন? উটের গোশ্ত খেলে অযু নষ্ট হয়; ছাগলের গোশত খেলে নষ্ট হয় না কেন? এ রূপ আরও অসংখ্য প্রশ্ন।
এবার মূল আলোচনায় আসি। গভীরভাবে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় যে, স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা ফরজ হওয়ার সাথে সাথে এর একাধিক উপকার রয়েছে।

১) ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রঃ)কে প্রশ্ন করা হল, পেশাব করার পর শুধু সামান্য স্থান ধৌত করা হয়। আর বীর্যপাতের পর সমস্ত শরীর ধৌত করতে হয়। এর কারণ কি? অথচ নির্গত পেশাবের চেয়ে নির্গত মনী বা বীর্যের পরিমান খুবই কম।
উত্তরে তিনি বললেনঃ পেশাব নির্গত হয় শরীরের নির্দিষ্ট একটি অংশ থেকে। আর মনী অল্প হলেও তা বের হয় শরীরের সকল অংশ থেকে। সুতরাং মনী বের হওয়ার পর গোসল করাই অধিক যুক্তি সংগত।

২) মনী বের হওয়ার পর শরীর দূর্বল হয়। আর গোসলের মাধ্যমে সেই দূর্বলতা কেটে যায় এবং শরীর শক্তিশালী হয়। এ বিষয়টি খুবই বোধগম্য।

৩) বীর্যপাতের পর শরীর ভারী হয়ে যায়। আর গোসলের মাধ্যমে তা পাতলা হয়। আবু র্যা (রাঃ) একদা জানাবাতের তথা অপবিত্রতার গোসল করার পর বললেনঃ এখন আমার উপর থেকে একটি বোঝা সরিয়ে ফেলা হল।

৪) বিজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেনঃ স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা শরীর ও মনের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদেরকে স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করার আদেশ দেয়া হয়েছে। (আল্লাহই ভাল জানেন)
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমাদের দেশের অনেক বক্তার মুখেই শুনা যায় মানুষকে এক ফোটা নাপাক পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি বানোয়াট ও দলীল বিহীন কথা। সুতরাং এ ধরণের কথা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

 আব্দুল্লাহ শাহেদ
করেছেন Level 2
جزاك الله خيرا
+1 টি ভোট
করেছেন Level 5
আপনাকে কে বলেছে বীর্য পবিত্র?? বীর্য এটা ঘাঢ় নাপাকী।আর এটা এমন নাপাকী যে,একমাত্র গোসল ব্যাতিত ওযূ ও তায়াম্মুম দ্বারাও পাক হওয়া সম্ভব নয়। প্রস্রাবে পায়খানার রাস্তা দিয়ে যা কিছু বের হবে সব নাপাক।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
18 নভেম্বর 2018 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
1 উত্তর
01 নভেম্বর 2018 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ran Ran Ran Level 7
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...