191 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন Level 6

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 7

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিকাংশ দো‘আ এই হত, ‘আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুন্য়্যা হাসানাহ, অফিল আ-খিরাতে হাসানাহ, অক্বিনা আযাবান্নার।’


   

অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও এবং পরকালেও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও। (বুখারী ও মুসলিম)


মুসলিমের অন্য বর্ণনায় বর্ধিত আকারে আছে, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন একটি দো‘আ করার ইচ্ছা করতেন, তখন ঐ দো‘আ করতেন। আবার যখন (বিভিন্ন) দো‘আ করার ইচ্ছা করতেন, তখন তার মাঝেও ঐ দো‘আ করতেন।


4/1476 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ: «اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعَفَافَ، وَالغِنَى» . رواه مسلم


৪ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ করতেন,


‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অত্তুক্বা অলআফা-ফা অলগিনা।’


অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়েত, পরহেজগারি, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)


5/1477 وَعَنْ طَارِقِ بنِ أَشْيَمَ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَسْلَمَ عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهَؤلاَءِ الكَلِمَاتِ: «اَللهم اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِني، وَعَافِني، وَارْزُقْنِي» . رواه مسلم


وفي روايةٍ له عن طارق: أنَّه سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، وَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، كَيْفَ أَقُولُ حِيْنَ أَسْأَلُ رَبِّي ؟ قَالَ: «قُلْ:  اَللهم اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَعَافِني، وارْزُقْنِي، فَإِنَّ هَؤُلاَءِ تَجْمَعُ لَكَ دُنْيَاكَ وَآخِرَتَكَ».


ত্বারেক ইবনে আশ্য়্যাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কেউ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নামায শিখাতেন। তারপর তাকে এই দো‘আ পাঠ করতে আদেশ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী, অরহামনী, অহদিনী, অ আ-ফিনী,অরযুক্বনী।’


অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে সঠিক পথ দেখাও, আমাকে নিরাপত্তা দান কর এবং আমাকে জীবিকা দাও। (মুসলিম)


অন্য এক বর্ণনায় আছে, ত্বারেক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যখন তাঁর নিকটে একটি লোক এসে নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রসূল! যখন আমি আমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করব, তখন কি বলব?’ তখন তিনি বললেন, “বল, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলী—।’ কারণ, এই শব্দগুলিতে তোমার ইহকাল-পরকাল উভয়ই শামিল রয়েছে।”


6/1478 وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «اَللهم مُصَرِّفَ القُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ» . رواه مسلم


আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা মুসার্রিফাল ক্বুলূবি স্বার্রিফ ক্বুলূবানা আলা ত্বা-আ’তিক।’


অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে আবর্তনকারী! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের উপর আবর্তিত কর। (মুসলিম)


7/1479 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «تَعَوَّذُوا بِاللهِ مِنْ جَهْدِ البَلاَءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ، وَسُوْءِ القَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ». متفق عَلَيْهِ


وفي روايةٍ قَالَ سُفيَانُ: أَشُكُّ أنِّي زِدْتُ وَاحِدَةً مِنْهَا .


আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে বল, ‘(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা) মিন জাহদিল বালা-ই অদারাকিশ শাক্বা-ই অসূইল ক্বাযবা-ই অশামা-তাতিল আ’দা-’।’


অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা (অল্প ধনে জনের আধিক্য), দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দ ভাগ্য এবং দুশমন-হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি। (মুসলিম)


এক বর্ণনায় সুফিয়ান বলেছেন, ‘আমার সন্দেহ হয় যে, ঐ কথাগুলির মধ্যে একটি কথা আমি বাড়িয়ে দিয়েছি।’


8/1480 وَعَنْهُ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم أَصْلِحْ لِي دِينِيَ الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي، وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتي فِيهَا مَعَاشِي، وَأَصْلِحْ لِي آخِرتِيَ الَّتي فِيهَا مَعَادِي، وَاجْعَلِ الحَيَاةَ زِيَادَةً لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ المَوتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ» . رواه مسلم


উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন,‘আল্লা-হুম্মা আস্বলিহ লী দীনিয়াল্লাযী হুয়া ইসমাতু আমরী, অ আস্ব্লিহ লী দুন্য়্যা-য়্যাল্লাতী ফীহা মাআ-শী, অ আস্ব্লিহ লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মাআ-দী। অজআলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল লী ফী কুলি খাইর্। অজআলিল মাউতা রা-হাতাল লী মিন কুলি শার্র্।’


অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার দ্বীনকে শুধরে দাও, যা আমার সকল কর্মের হিফাযতকারী। আমার পার্থিব জীবনকে শুধরে দাও, যাতে আমার জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে শুধরে দাও, যাতে আমার প্রত্যাবর্তন হবে। আমার জন্য হায়াতকে প্রত্যেক কল্যাণে বৃদ্ধি কর এবং মওতকে প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আরামদায়ক কর। (মুসলিম)


8/1481 وَعَنْ عَلِيٍّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ لِي  رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «قُلْ:  اَللهم اهْدِنِي، وَسَدِّدْنِي».


وفي رواية: «اَللهم إنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى وَالسَّدَادَ» . رواه مسلم


আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “তুমি বল, ‘আল্লাহুম্মাহদিনী অসাদ্দিদনী।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়েত কর ও সোজাভাবে রাখ।


অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অস্সাদা-দ’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হেদায়েত ও সরল পথ কামনা করছি। (মুসলিম)


10/1482 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ، وَالكَسَلِ، وَالجُبْنِ، وَالهَرَمِ، وَالبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالمَمَاتِ» .


وفي رواية: «وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ» . رواه مسلم


আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন,


‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অল-কাসালি অল-জুব্নি অল-হারামি অল-বুখ্ল, অ আঊযু বিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি, অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্য়্যা অল-মামাতি, (অ যবালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।)’


অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (এবং ঋণের ভার ও মানুষের প্রতাপ থেকে)।


অপর বর্ণনায় (যুক্ত) আছে, অদ্বাল‘ইদ-দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল। (মুসলিম)


11/1483 وَعَنْ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيق رضي الله عنه: أَنَّه قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُوْ بِهِ فِي صَلاَتِي، قَالَ: «قُلْ: اَللهم إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْماً كَثِيراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحِيمُ». متفق عَلَيْهِ


وفي روايةٍ: «وَفِي بَيتِيْ» وَرُوِيَ: «ظُلماً كَثِيراً» وَرُوِي: «كَبِيراً» بالثاء المثلثة وبالباء الموحدة ؛ فينبغي أنْ يجمع بينهما فيقال: كَثِيراً كَبِيراً .


আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, ‘আমাকে এমন দো‘আ শিখিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি আমার নামাযে প্রার্থনা করব।’ তিনি বললেন, “তুমি বল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাঁউ অলা য়্যাগফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা অরহামনী, ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম। (বুখারী-মুসলিম)


এক বর্ণনায় আছে, ‘(যা দিয়ে আমি আমার নামাযে) এবং আমার ঘরে (প্রার্থনা করব।)’ ‘যুলমান কাসীরান’-এর স্থলে কোন কোন বর্ণনায় ‘যুলমান কাবীরান’ও বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং উচিত হল, উভয় বর্ণনা একত্র করে ‘যুলমান কাসীরান কাবীরান’ বলা।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
05 মার্চ 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md tushar Level 6
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...